অনলাইন ডেক্স:
সারাদেশে বগুড়ার দইয়ের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। এই জনপ্রিয়তার ভিড়ে বগুড়ার আদমদীঘি, সান্তাহারসহ উত্তরাঞ্চলের সকল মানুষ দই কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। দইয়ের দোকানিরা ক্রেতাদের কাছ থেকে দইয়ের সাথে মাটির হাঁড়ির ওজন এক সাথে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন বাড়তি মুনাফা। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে ছোট, বড় সব দোকানে হাঁড়ি ও সরার দই ওজনে বিক্রি হয়ে আসছে। দই ওজনের সময় হাঁড়ি বা সরার ওজন বাদ দেয়া হয় না। এলাকায় প্রতিকেজি দই একশ’ থেকে দুইশ’ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
বিভিন্ন উৎসব পার্বণে এখানকার দইয়ের দাম বেড়ে যায় দুইগুণ। ঈদ, বিয়ে, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দই কিনে এনে দেখা যায় দইয়ের চেয়ে হাঁড়ির ওজন বেশি। এলাকার দইয়ের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এই কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এতে প্রতারিত হচ্ছেন দই ক্রেতারা। অন্যদিকে লাভজনক হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝুঁকে পড়ছেন এ ব্যবসায়। মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম-নীতি। নজরদারি না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউডার গুড়োদুধ, খাওয়ার সোডা, ময়দাসহ বিভিন্ন প্রকার ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে দই বানিয়ে হাটে-বাজারে ও বড় বড় মিষ্টান্ন ভান্ডারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment